দুষ্টু রাজা মাংকি কিং এর অমরত্ব পাওয়ার কাহিনী
মাংকি কিংকে তো সবাই চিনি! তাহলে চলুন জেনে নেই কিভাবে অমর হলো এই অসাধারন যোদ্ধা!
আমরা যারা মোটামুটি মুভি দেখি বা ইতিহাস বিষয়ক বই, পৌরাণিক বই, দেব দেবতাদের কাহিনী এসব পড়ি, তাদের নিশ্চয়ই মাংকি কিং এর সাথে পরিচয় আছে। কিন্তু যারা জানিনা তাদের জন্য ছোট্ট করে একটু পরিচয় দিয়ে নিলাম।
মাংকি কিং কে ছিলেন
মাংকি কিং, যিনি সান উকং নামেও পরিচিত, চীনা সাহিত্যের একজন কিংবদন্তি চরিত্র। অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে – মাঙ্কি কিং কিসের উপর ভিত্তি করে? মাংকি কিং ১৬শ শতাব্দীর চীনা উপন্যাস “জার্নি টু দ্য ওয়েস্ট” এর উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং সে এটির অন্যতম প্রধান চরিত্র। এই উপন্যাসটি বৌদ্ধ ভিক্ষু তাং সাংজাং-এর ভারত ভ্রমণের গল্প বলে, যেখানে তিনি পবিত্র বৌদ্ধ গ্রন্থ সংগ্রহ করতে যান। পথে তিনি মাংকি কিং, শূকরের দেবতা জু বাজিয়ে এবং রাক্ষস শা উজিং সহ তিনজন সঙ্গীর দেখা পান এবং তাদেরকে নিয়ে তিনি তার জার্নি শুরু করেন।
মাংকি কিং একজন শক্তিশালী এবং চটপটে বানর যোদ্ধা, যে কিনা ৭২টি রূপ পরিবর্তনের ক্ষমতা, একটি জাদুকরী লাঠি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা এবং মেঘে ভাসতে পারার ক্ষমতা রাখে। সে একজন বিদ্রোহী চরিত্রও, যে প্রায়শই নিয়ম ভঙ্গ করেন এবং ঝামেলায় পড়ে। কিন্তু সে একজন নিবেদিত প্রাণ সঙ্গীও, যে সর্বদা তার মাস্টার তাং সাংজাংকে রক্ষা করার জন্য তার ক্ষমতা ব্যবহার করে।
মাংকি কিং চীনা সংস্কৃতিতে একটি জনপ্রিয় চরিত্র এবং তাকে অনেক বই, চলচ্চিত্র, টেলিভিশন শো এবং ভিডিও গেমে চিত্রিত করা হয়েছে। সে শক্তি, সাহস এবং বিদ্রোহের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হন।
মাংকি কিং এর অমরত্ব লাভের কাহিনী
তো চলুন এবার মেইন কাহিনীতে চলে আসি। আর সেটা হল আমাদের এই প্রিয় বানর রাজা কিভাবে তার অমরত্ব লাভ করে। মাংকি কিং কিভাবে তার অমরত্ব অর্জন করে? এর পিছনে অনেক কাহিনী রয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে তার পাগলামি এর নমুনা পাওয়া যায়।
প্রথম বার, মাংকি কিং ওর মাস্টার এর কাছ থেকে অমর হওয়ার টেকনিক শিখে এবং অমরত্ব অর্জন করে।
দ্বিতীয় বার, সে নরকে যায় এবং নরকের “বুক অফ মরটাল” বই থেকে নিজের এবং নিজের বানর সেনাদের নাম মুছে ফেলে এবং আবারও অমরত্ব অর্জন করে।
তৃতীয় বার, তাকে পিচ গাছ এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয় যার ফল খেলে যে কেও অমরত্ব অর্জন করতে পারে। কিন্তু সে রক্ষণাবেক্ষণ না করে গাছের সব ফল খেয়ে ফেলে। এবং আবারও অমরত্ব লাভ করে ।
চতুর্থ বার, সর্গীয় মদ পান করার পর আবারো অমরত্ব লাভ করে।
পঞ্চম বার, সর্গীয় অ্যালকেমিস্ট এর “অমৃত পিল” খাবার পর আবারও অমরত্ব লাভ করে।
পিকচার আবি বাকি হে…
ষষ্ট বার, তার এইসব কর্মকাণ্ড দেখে বিরক্ত হয়ে সর্গিয় দেবতা তাকে বিশাল অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করে তাকে মারার জন্য । কিন্তু ওই আগুন সে অমর হওয়ার কারণে তাকে মারতে পারে না। অবশেষে সে ওই আগুনের সাহায্যে তার নশ্বর জীবনকে পুড়িয়ে ফেলে এবং আবারও অমরত্ব লাভ করে।
শেষ পর্যন্ত সপ্তম বারে, সে ঔষুদি গুণসম্পন্ন জিনসেং গাছ খায় এবং আবারও অমরত্ব লাভ করে ।
এইভাবে সে পুরো কাহিনীতে কয়েকবার অমরত্ব লাভ করে এবং শক্তিশালী হয়ে উঠে। মাংকি কিং আমার পছন্দের একটি চরিত্র। আপনারা যদি ওর মুভি বা বই পড়েন তাহলেই বুজতে পারবেন। তো এই ছিল আজকের মতো। আশা করি ভালো লেগেছে আর্টিকেলটি!